হটাৎ বেরিয়ে পড়েছিলাম কালী পুজোর দিন বিকেলে আমাদের প্রবীণ সহকর্মী ডাঃ সুকুমার মাকড়ের বাড়ির দিকে। সন্ধ্যায় গ্রাম ঘুরতে বেরিয়ে নজরে পরে একটা প্রাচীন শিব মন্দির। প্রচুর পুরোনো আমলের বাড়ি, যেগুলো এখনও বেশ যত্নের সঙ্গে সংরক্ষিত এবং ব্যবহার করচেন গ্রামের মানুষেরা। পুরোনো দালানগুলো জানান দেয় এখানে আর্থিক ভাবে অনেক সম্পন্ন মানুষের বাস।
গ্রামের দু একজন এই মন্দিরটির উল্লেখ করলেন। গুগল করে কয়েকটা ছবিও পাওয়া গেলো। পরদিন শিশির ভেজা সকালে বেরিয়ে সাক্ষাৎ পেলাম আনুমানিক ২৫০ বছরের এই মন্দিরটির। রঘুনাথ মন্দির নাম পরিচিত এই মন্দিরে এখনও নিত্য সেবা পেয়ে চলেছেন শ্রী রামচন্দ্র। গ্রামেরই চৌধুরী পরিবার সেবাইত। অযত্নের ছাপ মন্দিরটির গায়ে স্পষ্ট। আশপাশের মানুষদের মন্দির গাত্রের থেকে যাওয়া টেরাকোটা অলংকরণ সম্পর্কে কোনো বিশেষ চেতনা আছে বলে মনে হয়নি।
পাতলা ইঁটের তৈরী এই নবরত্ন ( নয় চূড়া ) মন্দিরের গায়ে কৃষ্ণের জন্ম ও তার বিভিন্ন লীলা গুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রবেশ দ্বারের ঠিক ওপরে রয়েছে 'রাসচক্র'